বাইক লেন না থাকায় নভেম্বরে সড়কপথ দূর্ঘটনা বেড়ে ৪ হাজার ১৯৩। আর এই সব দুর্ঘটনায় ১ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৭ এবং নিহত হয়েছেন ৪১০ জন।

আকাশ-সড়ক- রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত করার লক্ষ্যে দেশের একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি ও গবেষণা সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেছেন, সেভ দ্য রোড ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ১৫ বছর ধরে দাবিকৃত বাইকলেন, ৫ কিলোমিটার অন্তর অন্তর পুলিশ বুথ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন না হওয়ায় নভেম্বর মাসে এসে সড়কপথ দুর্ঘটনা ভয়াবহভাবে বেড়েছে, যা জনগণের জন্য খুবই আতঙ্কের।

মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮৯৫, আহত হয়েছেন ৭৮৯ এবং নিহত হয়েছেন ৫৩; ৯২৯ টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮১৯ এবং নিহত হয়েছেন ৪৫ জন; ১৩৩৩ টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২১৯ এবং নিহত হয়েছেন ২৫২; সিএনজি, ব্যাটারি চালিত বাহন, নসিমন, করিমনসহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ বাহনে ১০৩৬ টি দুর্ঘটনায় ৯৫১ জন আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন ৬০।

২৭ টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক্স চ্যানেলে প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যর পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবিদের তথ্যানুসারে তৈরি করা প্রতিবেদনে সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা, শওকত হোসেন উল্লেখ করেন- নৌপুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলা এবং চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের অসচেতনতার কারণে ১২১ টি দুর্ঘটনায় ১৮৮ জন আহত এবং ২১ জন নিহত, রেলপথ দুর্ঘটনারোধে কর্তৃপক্ষের উদানিতার কারণে কেবলমাত্র অরক্ষিত রেলক্রসিং ও অব্যবস্থাপনার কারণে ১১১ টি দুর্ঘটনায় ৯৮ জন আহত এবং ১৯ জন নিহত হয়েছে।

সেই সাথে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ বিভিন্ন আন্তঃবিমান বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ১৫২ শত আকাশপথ যাত্রীকে ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে।